অসাধু ব্যবসায়ীরা এই চাল আমদানি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা। লাগোসের কাস্টমস প্রধান হারুনা মামুদু বলেন, উৎসবের ঋতুকে সামনে রেখে এই চাল বাজারে বিক্রির পাঁয়তারা হচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন, সিদ্ধ করার পর এই চাল খুবই আঠালো হয়ে যায়। ‘শুধু ইশ্বর জানেন, যদি মানুষ এটি খায় তবে কী ঘটবে।”
এই চাল কোথা থেকে এসেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গেল বছর চীনে চাল তৈরির প্লাস্টিকের টুকরার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।
চাল সিদ্ধ করে তৈরি ভাত নাইজেরিয়ার জনপ্রিয়তম প্রধান খাদ্য। মোট ১০২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি বস্তায় ২৫ কেজি করে চাল রয়েছে।
তদন্তকারীরা এখন খোঁজ নিয়ে দেখছেন, ইতিমধ্যে কী পরিমাণ ‘নকল চাল’ বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। নাইজেরিয়ার বাণিজ্যিক ও শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত লাগোসে নিয়োজিত বিবিসির প্রতিনিধি মার্টিন পেইসেন্স বলেন, এই ‘চাল’ কীভাবে তৈরি করা হয়েছে তা বোঝার জন্য কর্তৃপক্ষ জব্দ করা চালের নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে জনসাধারণকে শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে মর্মে এ ধরনের ‘রহস্যময়’ খাদ্যপণ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
চীনের মতো দেশের সঙ্গে তুলনায় নাইজেরিয়ায় ভেজাল খাদ্যপণ্য কেলেঙ্কারির ঘটনা বিরল। তবে দেশটিতে ভেজাল ওষুধ উৎপাদনের কেলেঙ্কারি রয়েছে।
প্রতিবছর এসব ওষুধের কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মারা যান।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.