বিপিএলে আফিফের অভিষেক রূপকথার মতো


এখনো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড় তিনি দলটির সহ-অধিনায়কও তিনি। বিপিএলে তরুণ খেলোয়াড়দের কোটায় আফিফ হোসেন ধ্রুবকে দলে নিয়েছিল রাজশাহী কিংস।
দলের সঙ্গে থাকলেও এর আগে একটি ম্যাচও খেলা হয়নি তাঁর। শনিবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেই সবাইকে চমকে দিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। বিপিএলে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে চার ওভার বল করে মাত্র ২১ রান দিয়ে আফিফ নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। অভিষেকটা সত্যিই রূপকথার মতোই হলো তরুণ এই ক্রিকেটারের।

চিটাগং কিংসের বিপক্ষে আফিফের প্রথম শিকার জহুরুল ইসলাম এরপর ক্যারিবীয় তারকা ক্রিস গেইল, জাকির হোসেন, সাকলাইন সজীব ও ইমরান খান জুনিয়রকে আউট করে শুধু নিজের ঝুলিকেই সমৃদ্ধ করেননি, প্রতিপক্ষকে অল্প রানে গুটিয়ে দিতে মূল ভূমিকা রেখেছেন তিনিই। অথচ রংপুর অধিনায়ক ড্যারেন সামি যখন আফিফকে প্রথম বোলিংয়ে পাঠান, তখন অনেকেই অবাক হয়েছিলেন।

কে এই আফিফ, অনেকেই এমন প্রশ্নও তোলেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ এও বলেন, গেইলের বোলিং ঝড়ে উড়ে যেতে পারেন এই তরুণ বোলার। অথচ সেই তিনিই গেইলকে সরাসরি বোল্ড আউট করে সাজঘরে ফেরত পাঠান। আফিফের বোলিং তোপে রীতিমতো নাকাল ছিল চিটাগংয়ের ব্যাটিং লাইন। এক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক ছাড়া অন্য সবাই একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন। অধিকাংশ ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।

 বিপিএলে এখন পর্যন্ত এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন মাত্র সাতজন। এই বিরল তালিকায় নাম উঠে গেছে আফিফের। এই সাতজনের মধ্যে তিনজনই আবার বিদেশি ক্রিকেটার। আবুল হাসান, তাসকিন আহমেদ ও আল-আমিন হোসেনের পর বাংলাদেশের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আফিফ।

বিপিএলের সেরা বোলিং ফিগারের তালিকায় তাঁর নাম আছে তৃতীয় স্থানে। মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার হলেও বল হাতেই নিজেকে আগে প্রমাণ করেছেন আফিফ। তাই এখন বলাই যায়, আরেকজন খুদে প্রতিভার সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। হয়তো ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়েও দ্যুতি ছড়াবেন তিনি।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.