ঢাকা ক্লাব, ধানমণ্ডি ক্লাব, গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ দেশের কয়েকটি শহরের ১৩টি ক্লাবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা অবৈধ ঘোষণা করে তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সংশ্লিষ্ট ক্লাবের চেয়ারম্যান বা প্রেসিডেন্টদের আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্য ক্লাবগুলো হলো-বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব। একই সঙ্গে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম, যেমন-কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে, তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের সধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ঢাকা, খুলনা ও সিলেট এবং র্যাবের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নারায়ণগঞ্জকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট চৌধুরী মোহাম্মদ রেদোয়ানে খুদা।
ব্যারিস্টার রেদোয়ান জানান, ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি নামীদামি ক্লাবে জুয়া জাতীয় খেলার ওপর তিন মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সামিউল হক ও অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মো. ফারুকের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ।
একই সঙ্গে সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। এসব যুক্তিতে আমরা আবেদন করলে আদালত আজ এ আদেশ দিয়েছেন।’
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.