তথ্য গোপনের দায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কক্সবাজার ৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি।
এমপি বদির জামিন স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের বিষয়ে রবিবার নো অর্ডার বা কোনো আদেশ দেননি চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক আবদুস সোবহান।
২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আবদুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে এ মামলা হয়। এ মামলায় গত ২ নভেম্বর সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে আবদুর রহমান বদিকে ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি ধারায় মামলাটি করে দুদক। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ধারাটি আদালতে প্রমাণিত হয়নি এমপি বদির বিরুদ্ধে। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১০ নভেম্বর আপিল করেন এমপি বদি।
গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) শুনানির জন্য আপিলটি গ্রহণ করে বদিকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে জরিমানা স্থগিত করেন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ জামিন স্থগিত চেয়ে গত বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
ওই দিন বিচারিক আদালতের রায়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে বদির খালাসের বিরুদ্ধেও হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুদক।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.