মাহবুবে আলমের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থাকার বৈধতা নিয়ে দায়ের করা রিটের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের একজন বিচারপতি মামলা শুনতে বিব্রত বোধ করেন। তবে বিব্রত বোধ করা বিচারপতির নাম জানা যায়নি। আইনজীবীরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী এখন বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে।
প্রধান বিচারপতি নতুন বেঞ্চ গঠন করে দিলে বিষয়টি শুনানির জন্য সেখানে পাঠানো হবে।
মাহবুবে আলমের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থাকা নিয়ে ১০ নভেম্বর রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূছ আলী আকন্দ। রিটে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ৬৪ (১) ও ৯৬ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে, ৬৭ বছর বয়সের পর কেউ ওই পদে থাকতে পারেন না। চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি মাহবুবে আলমের বয়স ৬৭ বছর হয়ে যায়। নির্দিষ্ট বয়স শেষ হওয়ার পরও তিনি ওই পদে বহাল রয়েছেন।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, নিয়ম অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে প্রায় ৮ বছর টানা এই পদে বহাল আছেন।
বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও মাহবুবে আলম কোন কর্তৃত্ববলে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে বহাল রয়েছেন তার নির্দেশনা জানতে চাওয়া হয়েছে রিটে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ বিষয়ে সংবিধানের ৬৪ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন কোনো ব্যক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হবেন।
সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অন্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোনো বিচারক ৬৭ বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল পদটি সাংবিধানিক উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধান মেনে চলা সবারই দায়িত্ব ও কর্তব্য। সাংবিধানিক অন্য সব পদেই নির্ধারিত সময়ের পরে আর কেউ থাকতে পারেন না।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.